প্রশ্নঃ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার ২য় দফাটি নিচের কোনটির সাথে সম্পর্কিত?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
ক. বৈদেশিক বাণিজ্য
খ. মুদ্রা বা অর্থ
গ. রাজস্ব
ঘ. কেন্দ্রীয় সরকার
উত্তরঃ কেন্দ্রীয় সরকার
ব্যাখ্যাঃ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার ২য় দফাটি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সম্পর্কিত।
এই দফায় বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু মাত্র দুটি ক্ষমতা থাকবে। একটি হলো প্রতিরক্ষা এবং অপরটি হলো বৈদেশিক সম্পর্ক। বাকি সকল ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে ন্যস্ত থাকবে।
এই দফায় বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু মাত্র দুটি ক্ষমতা থাকবে। একটি হলো প্রতিরক্ষা এবং অপরটি হলো বৈদেশিক সম্পর্ক। বাকি সকল ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে ন্যস্ত থাকবে।
Related MCQ
প্রশ্নঃ ১৯৫২ সালে তৎকালীন ভাষা আন্দোলন কিসের জন্ম দিয়েছিল?
[ বিসিএস ১৪তম ]
ক. এক নতুন জাতীয় চেতনার
খ. এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার
ক. এক রাজনৈতিক মতবাদের
খ. এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার
গ. এক নতুন জাতীয় চেতনার
ক. এক রাজনৈতিক মতবাদের
খ. এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের
গ. এক নতুন জাতীয় চেতনার
ঘ. এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার
উত্তরঃ এক নতুন জাতীয় চেতনার
ব্যাখ্যাঃ ভাষা আন্দোলন নিখিল পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ ভাগ জনগণের মুখের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনে এক নতুন জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে এবং এ চেতনাই ক্রমে ক্রমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয়।
ক. মোহাম্মদ আলী
খ. খাজা নাজিমুদ্দীন
ক. লিয়াকত আলী খান
খ. মোহাম্মদ আলী
গ. খাজা নাজিমুদ্দীন
ক. নুরুল আমিন
খ. লিয়াকত আলী খান
গ. মোহাম্মদ আলী
ঘ. খাজা নাজিমুদ্দীন
উত্তরঃ খাজা নাজিমুদ্দীন
ব্যাখ্যাঃ ২৭ জানুয়ারি, ১৯৫২ তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন কর্তৃক পল্টন ময়দানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পুনরায় উর্দুর কথা ঘোষিত হলে ভাষা আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে এবং ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। খাজা নাজিমুদ্দীন ১৭ অক্টোবর, ১৯৫১ থেকে ১৭ এপ্রিল, ১৯৫৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্নঃ পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন কবে প্রণীত হয়?
[ বিসিএস ১৩তম ]
ক. ১৯৫০ সালে
খ. ১৯৪৮ সালে
ক. ১৯৫০ সালে
খ. ১৯৫৪ সালে
গ. ১৯৪৮ সালে
ক. ১৯৫০ সালে
খ. ১৯৪৮ সালে
গ. ১৯৪৭ সালে
ঘ. ১৯৫৪ সালে
উত্তরঃ ১৯৫০ সালে
ব্যাখ্যাঃ পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রণীত হয়েছিল এবং ১৯৫১ সালের ১৬ মে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সম্মতিক্রমে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
প্রশ্নঃ আওয়ামী লীগের ছয়-দফা কোন সালে পেশ করা হয়েছিল?
[ বিসিএস ১৩তম ]
ক. ১৯৬৬ সালে
খ. ১৯৬৭ সালে
ক. ১৯৬৬ সালে
খ. ১৯৬৮ সালে
গ. ১৯৬৫ সালে
ক. ১৯৬৫ সালে
খ. ১৯৬৬ সালে
গ. ১৯৬৭ সালে
ঘ. ১৯৬৮ সালে
উত্তরঃ ১৯৬৬ সালে
ব্যাখ্যাঃ ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত ‘৬ দফা দাবি’ পেশ করেন। ১৯৬৬ সালের ২৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘৬ দফা দাবি’ উত্থাপন করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গণআন্দোলন শুরু হলে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন স্থানে ১১ জন বাঙালি নিহত হন। এ জন্য প্রতি বছর ৭ জুন ছয় দফা দিবস পালিত হয়।
প্রশ্নঃ ঐতিহাসিক ছয় দফায় কোন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিলো না?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
ক. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
খ. বিচার ব্যবস্থা
ক. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
খ. বিচার ব্যবস্থা
গ. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
ক. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
খ. বিচার ব্যবস্থা
গ. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
ঘ. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
উত্তরঃ বিচার ব্যবস্থা
ব্যাখ্যাঃ ছয় দফার দাবিগুলো ছিল:
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো হবে ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সরকার পদ্ধতি হবে সংসদীয়। প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন সভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধুমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে, যথা - প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক যোগাযোগ। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে প্রাদেশিক সরকারগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
৩. মুদ্রা বা অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। অথবা, এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি মুদ্রাই থাকবে, তবে এ ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্রা যাতে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে না পারে, তার জন্য সাংবিধানিক বিধান রাখতে হবে।
৪. রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা: সকল প্রকার রাজস্ব, কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন রাজস্ব ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। প্রাদেশিক সরকারের আদায়কৃত রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ব্যয় নির্বাহের জন্য দেওয়া হবে।
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক হিসাব রাখতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পূর্ব পাকিস্তানের অধীনেই থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর এর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা: আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাদেশিক সরকারগুলোকে আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো হবে ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সরকার পদ্ধতি হবে সংসদীয়। প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন সভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধুমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে, যথা - প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক যোগাযোগ। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে প্রাদেশিক সরকারগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
৩. মুদ্রা বা অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। অথবা, এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি মুদ্রাই থাকবে, তবে এ ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্রা যাতে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে না পারে, তার জন্য সাংবিধানিক বিধান রাখতে হবে।
৪. রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা: সকল প্রকার রাজস্ব, কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন রাজস্ব ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। প্রাদেশিক সরকারের আদায়কৃত রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ব্যয় নির্বাহের জন্য দেওয়া হবে।
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক হিসাব রাখতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পূর্ব পাকিস্তানের অধীনেই থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর এর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা: আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাদেশিক সরকারগুলোকে আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।
প্রশ্নঃ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে কতটি আসন পায়?
[ প্রা.বি.স.শি. 27-06-2019 ]
ক. ১৬২
খ. ১৬৭
ক. ১৬৭
খ. ১৬২
গ. ৩০০
ক. ১৬৭
খ. ১৬২
গ. ২৯৮
ঘ. ৩০০
উত্তরঃ ১৬৭
ব্যাখ্যাঃ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মোট আসন ৩১৩ টি, এর মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৩ টি। পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৪৪ টি। আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টিতে জয়লাভ করে।