আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় ‘কালাপাহাড়’- কে স্বরণ করেছেন কেন?

[ বিসিএস ৩৭তম ]

ক. ব্রাহ্মণ্যযুগে নব মুসলিম ছিলেন বলে
খ. ইসলামের গুণকীর্তন করেছিলেন বলে
গ. প্রাচীন বাংলার বিদ্রোহী ছিলেন বলে
ঘ. প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার-বিদ্বেষী ছিলেন বলে
উত্তরঃ প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার-বিদ্বেষী ছিলেন বলে
ব্যাখ্যাঃ

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় 'কালাপাহাড়'কে স্মরণ করেছেন মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার এবং জীর্ণ ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে।

কালাপাহাড় ছিলেন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যার আসল নাম ছিল রাজু। তিনি প্রথমে হিন্দু ছিলেন, কিন্তু পরে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তিনি মূর্তি ভাঙা এবং মন্দির ধ্বংস করার জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার এই কর্মকাণ্ডকে অনেকে ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ বা পুরাতন জীর্ণতার বিনাশ হিসেবে দেখতেন।

নজরুল ছিলেন একজন বিদ্রোহী কবি। তিনি তার কবিতায় সামাজিক অবিচার, শোষণ, ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার এবং পুরনো পচা ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তিনি পরাধীনতা ও সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে মানবতাকে স্থান দিয়েছেন। কালাপাহাড়ের চরিত্রকে নজরুল তার এই বিদ্রোহের আদর্শের সাথে মিলিয়ে দেখেছিলেন।

নজরুলের কাছে কালাপাহাড় ছিলেন সেই প্রতীক, যিনি পুরাতন, জীর্ণ এবং অকল্যাণকর প্রথা ও প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে চুরমার করতে পারেন, যাতে নতুন কিছু গড়ে উঠতে পারে। যেমন, তার বিখ্যাত 'বিদ্রোহী' কবিতায় তিনি নিজেকে 'আমি কালাপাহাড়' বলে ঘোষণা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি বিদ্যমান অন্যায় ও অসঙ্গতিকে ভেঙে ফেলবেন, যেমন কালাপাহাড় মূর্তি ভেঙেছিলেন। এখানে মূর্তি ভাঙা আক্ষরিক অর্থে না হয়ে রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে - পুরাতন অন্যায়, শোষণ ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক বিদ্রোহ।

সুতরাং, সংক্ষেপে, নজরুল কালাপাহাড়কে স্মরণ করেছেন পুরাতন ও জীর্ণ প্রথার বিনাশকারী এবং বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে।